ত্বকের কোলাজেন বাড়াতে সহায়ক ৬টি খাবার
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে কোলাজেন উৎপাদন ধীরে ধীরে কমে যায়। এর প্রভাব পড়ে ত্বকের ওপর—দেখা দেয় বলিরেখা, ত্বক ঝুলে যাওয়া ও উজ্জ্বলতা কমে যাওয়ার মতো সমস্যা। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন ও পুষ্টির অভাবও কোলাজেন হ্রাসের অন্যতম কারণ। তবে সঠিক খাদ্যাভ্যাস মেনে চললে স্বাভাবিকভাবে শরীরে কোলাজেন উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিনের খাবারে কিছু নির্দিষ্ট পুষ্টিকর উপাদান যোগ করলে ত্বকের গঠন মজবুত হয় এবং তারুণ্য বজায় থাকে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোলাজেন বাড়াতে সহায়ক এমন ছয়টি খাবার সম্পর্কে।
১. সাইট্রাস জাতীয় ফল
কোলাজেন তৈরির জন্য ভিটামিন সি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কমলালেবু, লেবু, আঙুর ও কিউইয়ের মতো সাইট্রাস ফল নিয়মিত খেলে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ে এবং ত্বক উজ্জ্বল থাকে।
২. ডিম
ডিম ত্বকের জন্য একটি আদর্শ খাবার। ডিমের সাদা অংশে থাকা প্রোলিন নামের অ্যামাইনো অ্যাসিড কোলাজেন তৈরিতে সহায়তা করে। পাশাপাশি ডিমের কুসুমে থাকা বায়োটিন চুল, ত্বক ও নখ সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
৩. সামুদ্রিক খাবার
স্যামন, টুনা ও চিংড়ির মতো সামুদ্রিক মাছ ওমেগা–৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ। এগুলো ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং কোলাজেন উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৪. সবুজ শাকসবজি
পালং শাক, কলমি শাকসহ বিভিন্ন পাতাযুক্ত সবুজ শাকসবজিতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি ও ভিটামিন এ। এসব উপাদান ত্বকের ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যু মেরামত করে এবং কোলাজেন সংশ্লেষণ বাড়ায়।
৫. দই
প্রোবায়োটিকসমৃদ্ধ দই হজমশক্তি উন্নত করে এবং শরীরে পুষ্টি শোষণ সহজ করে। এতে কোলাজেন গঠনের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়।
৬. বেরি জাতীয় ফল
স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি ও রাস্পবেরির মতো বেরি ফলে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি। নিয়মিত এসব ফল খেলে ত্বক টানটান ও প্রাণবন্ত থাকে।
উপসংহার
ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে কেবল বাহ্যিক যত্নই নয়, ভেতর থেকে পুষ্টি জোগান দেওয়াও জরুরি। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এই ছয়টি খাবার রাখলে স্বাভাবিকভাবেই ত্বকের কোলাজেন বাড়বে এবং ত্বক থাকবে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।
Comment / Reply From
Popular Posts
Newsletter
Subscribe to our mailing list to get the new updates!